শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

বিসিক শিল্পনগরীর সড়ক অচল ভারী ট্রাকের চাপ, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

ভোলা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ২২:১০

আপডেট: ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ২২:১৮

শেয়ার

বিসিক শিল্পনগরীর সড়ক অচল ভারী ট্রাকের চাপ, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা
ছবি বাংলা এডিশন

ভোলা শহরের পৌর চরনোয়াবাদ এলাকায় গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। বড় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান না থাকলেও এখানকার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হাত ধরে টিকে আছে শিল্পনগরী। তবে খানা-খন্দে ভরা সড়ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

বিসিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে শিল্পনগরীর অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু খাদ্য গুদামের ২৫-৩০ টন ওজনের ট্রাক ও ট্রলি চলাচলের কারণে অল্প সময়েই সড়কগুলো ভেঙে পড়েছে।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, শিল্পনগরীতে ৬-৭ টনের বেশি ওজনের গাড়ি চলাচলের অনুমতি নেই। কিন্তু খাদ্য গুদামের মালামাল বহনকারী ২০-২৫ টনের ট্রাক চলাচল করায় সড়কগুলো এখন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে তাদের ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।

উদ্যোক্তা মো. সিহাব বলেন, ‘খাদ্য গুদামের ভারী গাড়ির কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের ছোট গাড়িগুলোও প্রবেশ করতে পারছে না। পণ্য ওঠানামায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

অন্য উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা ভালো না। রাস্তার বেহাল দশায় পণ্য আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না। লোকসান গুনতে হচ্ছে। এছাড়া বহিরাগত ভারী যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়েছে।

বিসিক শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক এসএম সোহাগ হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তা ৬-৭ টনের যানবাহনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু খাদ্য গুদামের ২৫-৩০ টনের গাড়ি চলাচলের কারণে ভেঙে গেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. এহসানুল হক জানান, ‘অন্যত্র স্থায়ী জেটি নির্মাণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২-৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। অনাপত্তিপত্র পেলেই দ্রুত জেটি নির্মাণ শুরু হবে।

সচেতন মহল মনে করছেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় দ্রুত বিসিক থেকে ভারী যানবাহন সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। নাহলে ভোলার ক্ষুদ্র শিল্পের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে।



banner close
banner close