শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

শরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু: মূল হোতা গ্রেপ্তার

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৪৩

শেয়ার

শরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু: মূল হোতা গ্রেপ্তার
ছবি: বাংলা এডিশন

শরীয়তপুরে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে' ও পুলিশ। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় পালং মডেল থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার।

গ্রেপ্তারকৃত সবুজ দেওয়ান সদর উপজেলার ধানুকা এলাকার আবু তাহের দেওয়ানের ছেলে।

মামলার এজাহার, রোগীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ছাতিয়ানী এলাকার নূর হোসেন সরদারের স্ত্রী রুমা বেগম গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার নিউ মেট্রো ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্য দেন। বাচ্চাটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর কিছুটা অসুস্থ থাকায় তারা চিকিৎসকের পরামর্শে সেদিন রাতে ঢাকায় নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তবে তাদের ভাড়া করা ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটি বাঁধা দেয় স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালক সবুজ দেওয়ান ও আবু তাহের দেওয়ান নামের দুই ব্যক্তি।

একপর্যায়ে তারা ঢাকাগামী সেই অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। দীর্ঘ ৪০ মিনিট আটকে থাকার কারণে পথেই মৃত্যু হয় শিশুটির। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নূর হোসেন সরদার শুক্রবার রাতে সবুজ দেওয়ানসহ ৫ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোররাতে র‍‍্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এঘটনায় অভিযুক্তদের সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।

মামলার বাদী ও ওই শিশুর বাবা নূর হোসেন বলেন, আমরা চাই এই ঘটনার প্রত্যেক অপরাধীকে প্রশাসন দ্রুত গ্রেপ্তার করুক। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর কেউ ঘটানোর সাহস না পায়।

এ ব্যাপারে র‍‍্যাব -৮ এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তৎপর হই। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার মূল হোতা সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমরা প্রস্তুত আছি।



banner close
banner close