শুক্রবার

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

এক ও দুই টাকার কয়েন লেনদেন না করলেই ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৩২

শেয়ার

এক ও দুই টাকার কয়েন লেনদেন না করলেই ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন
প্রতীকী ছবি

রাষ্ট্রীয় ভাবে বন্ধ না হলেও বছরের পর বছর ধরে চুয়াডাঙ্গায় এক ও দুই টাকার কয়েন বা ধাতব মূদ্রা লেনদেন একেবারেই বন্ধ। ক্রেতা-বিক্রেতা এমনকি ভিক্ষুকও নিতে চাননা এই ধাতব মূদ্রা।

তবে দীর্ঘদিন পরে হলেও জেলা জুড়ে এবার এক ও দুই টাকার কয়েন বা ধাতব মূদ্রার লেনদেন সচল করতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কয়েন বা ধাতব মূদ্রার লেনদেনে অনিহা প্রকাশ করলেই নেয়া হবে ব্যবস্থা।

গত ১৩ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিসিয়াল মুন্সিখানা শাখার সহকারী কমিশনার সামিউল আজম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- জাস্টিস ডিমান্ড নোটিশে সরকার অনুমোদিত এক ও দুই টাকার কয়েন সমগ্র জেলায় আদান প্রদানের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এক ও দুই টাকার কয়েন আদান প্রদান না করানোর চর্চা বন্ধের জন্য নির্দেশনা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

দীর্ঘ সময় হাটবাজারসহ ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এক বা দুই টাকার কয়েন দেখলেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে লেগে যেত তর্ক। কোনো পক্ষই এ ধাতব মুদ্রা নিতে রাজি হতো না। ফলে ব্যবসায়ীদের কাছে হাজার হাজার টাকার কয়েন পড়ে আছে অলস টাকা হিসেবে। এতে করে অর্থনৈতিক গতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলার বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যাবসায়ীরা বলছেন, অসংখ্য পণ্য রয়েছে যেগুলো বিক্রি করতে খুচরা টাকার প্রয়োজন। কিন্তু শহরে এক ও দুই টাকার কয়েন কেউ নিতে চায় না। এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই সমস্যায় রয়েছি আমরা। তবে এবার বিষয়টা সুরাহ হবে।

এ ব্যাপারে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মানিক আকবর বলেন, চুয়াডাঙ্গায় কখোনোই এক ও দুইটাকার ধাতব মূদ্রা অচল ছিলো না। কিন্তু ব্যাবসায়ী ও গ্রাহক নিতো না। কেন নিতো না এটার ব্যাখ্যা পায়নি। এটা আইনত অপরাধ।

তিনি আরও বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে এটা যদি কেও নিতে না চায়, সেখানে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। যদি কেও লেনদেনে অস্বীকৃতি যানায় তাহলে থানা পুলিশ, সিভিল প্রপশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। তাহলে ওনারা ব্যবস্থা নিবেন।

জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর চুয়াডঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানো একটা চিঠি পেয়েছি। নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



banner close
banner close