মানিকগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. ছালেক হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় গরীব ও অসহায় মানুষদের জমি দখল এবং একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
আইনজীবী মো. ছালেক হোসেন মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও বাল্লা ইউনিয়নের কলাপাড়া গ্রামের ছামাদ প্রামাণিকের ছেলে।
সম্প্রতি কলাপাড়া গ্রামে জমিজমা বিরোধের জেরে শেখ শহিদের পরিবারের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি আলোচনায় এসেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ঘটনায় তিনি মানিকগঞ্জ থেকে দেশীয় অস্ত্রধারী কয়েকজনকে ভাড়া করে রাতের সময় শহিদের পরিবারের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আইনজীবী সমিতিতে তার বিরুদ্ধে গণপিটিশন দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, উকিল হওয়ার পর থেকে ছালেক হোসেন জমি দখল এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন। বাস্তা গ্রামের ষাটোর্ধ আওলাদ হোসেন বলেন, “উকিল হওয়ার আগে মানুষ ছিলেন, এখন অমানুষ। কলাপাড়া গ্রামের শহিদের বাড়িতে মানিকগঞ্জ থেকে ১৬ জনকে ভাড়া এনে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। উকিল হওয়ার কারণে এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পান না।”
বাদল নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ছালেক উকিল বাজারে আয়নালের জায়গা কেনার নামে ঘর তৈরি করে, পরে টাকা না দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সেই জায়গা জোরপূর্বক দখল করে। মাচাইন গ্রামের হাফেজ ক্বারী আহম্মদ আলী বলেন, “শহিদের জমির কাগজপত্র বৈধ, আদালতের রায়ও তাদের পক্ষে এসেছে। তবুও ছালেক হোসেন তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চালিয়ে জমি দখল করে রেখেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সামাজিক নিয়ম-বিধি উপেক্ষা করে এই কার্যক্রম চালাচ্ছেন।”
একজন অভিযোগকারী আলাল জানান, “আমার নামে তিনটি মিথ্যা মামলা করেছে। পরে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মামলা ফয়সালা করেছে। তবে সত্য কথা বলা থেকে কখনো পিছপা হইনি।”
অভিযুক্ত আইনজীবী মো. ছালেক হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ “ভিত্তিহীন ও মিথ্যা”। তিনি বলেন, “আমার এবং দাদার আমলের জমি নিয়ে আমাদের মধ্যে একটি বন্টনের মামলা চলছে।”
উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই কলাপাড়া গ্রামের জমিজমা বিরোধের জেরে শহিদের পরিবারের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন এবং জেলা আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:








