শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪ পৌষ, ১৪৩২

চাঁদাবাজি ও দখলবাণিজ্য; কঠিন হবে কুষ্টিয়া-এক আসনে ভোটের লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:১২

আপডেট: ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:১৮

শেয়ার

চাঁদাবাজি ও দখলবাণিজ্য; কঠিন হবে কুষ্টিয়া-এক আসনে ভোটের লড়াই
ছবি: কোলাজ

ভারত সীমান্ত ঘেঁষা কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায় বিএনপি অন্তত তিনটি ধারায় বিভক্ত। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা একটি ধারার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই ধারার নেতাকর্মীরা বাচ্চু মোল্লার ভাই ও ছেলে শিশির মোল্লার নেতৃত্বে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে চাঁদাবাজিসহ পদ্মার চর এবং সীমান্ত এলাকার নানা অপকর্মে জড়িত।

দ্বিতীয় ধারাটির নেতেৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা। তারা চাঁদাবাজিসহ অবৈধ সিগারেট তৈরিতে জড়িত। ভারতে নিখোঁজ আওয়ামী এমপি আনারের প্রাডো গাড়িটি যে চক্র কুষ্টিয়ায় এনেছিল, সেই চক্রের অন্যতম সদস্য বিএনপির এই নেতা। আরেকটি ধারার নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম সরকার মঙ্গল। এ ধারায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা আছেন। ফ্যাসিবাদের পতনের পর কিছু বিএনপি নেতাকর্মীর অপকর্মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। অপকর্ম বন্ধ করতে না পারলে একসময়ের বিএনপির ঘাঁটি জামায়াতের দুর্গে পরিণত হতে পারে। তবে জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলোর মধ্যে কোনো কোন্দল নেই।

এ আসনে ধানের শীষ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শহীদ সরকার মঙ্গল, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজীব। তারা ছাড়াও বেশ কয়েকজন বিএনপি হাইকমান্ডে তদবির চালাচ্ছেন।

কুষ্টিয়া-১ আসনে জামায়াত মনোনয়ন দিয়েছে উপজেলা শাখার উপাধ্যক্ষ মাওলানা বেলাল উদ্দিনকে। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি অমিনুল ইসলামকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। খেলাফত মজলিসের মনোনীত প্রার্থীর নাম মাওলানা শরীফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা আসাদুজ্জামান। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রী নুসরাত তাবাচ্ছুম নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

বৃহত্তম রাজনৈতিক দল কুষ্টিয়া বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছে অন্তর্কোন্দল। ত্রয়োদশ নির্বাচনের আমেজ তৈরি হওয়ায় ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে সেই সংকট। জেলা বিএনপি নেতারাও এক কার্যালয়ে বসেন না। তারা বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত হয়ে একাধিক কার্যালয় নিয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছে। মনোনয়ন যিনিই পান না কেন, বিভাজন থেকে বের হওয়া কঠিন হবে। এছাড়া দলটির কিছু নেতাকর্মীর চাঁদাবাজি ও দখলবাণিজ্য ক্রমেই কঠিন পরীক্ষায় ফেলছে ধানের শীষকে।

অন্যদিকে বৃহত্তম ইসলামি দল জামায়াত এমন ঝামেলার ঊর্ধ্বে উঠে ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। শিক্ষিত ও নির্ভেজাল নেতাদের নমিনেশন দেওয়ায় বেশ সাড়াও পাচ্ছেন তারা। প্রার্থীরা নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, জয় করছেন ভোটারদের হৃদয়। অন্য দলগুলোর নেতাকর্মীরাও মোটামুটি সরব আছেন।



banner close
banner close