চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে ইয়াবা বড়ি পাচার হঠাৎ বেড়ে গেছে। মাদক চক্র নানা কৌশল অবলম্বন করে এই পাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কিছু চালান ধরা পড়লেও অধিকাংশই গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত এক সপ্তাহ ধরে চকরিয়া থানা পুলিশ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করছে। এতে গত দুই দিনে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার, দুই পাচারকারী গ্রেপ্তার এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
চকরিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট (শুক্রবার) বেলা ১১টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং এলাকায় চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে ইয়াবা পাচারের সময় মো. আফসার উদ্দিন (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তল্লাশিতে তার মোটরসাইকেল থেকে ২ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, ৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) একই ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া এলাকায় চেকপোস্টে চট্টগ্রামগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় যাত্রী মো. আজাদ (৪০) সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, তার পেটে ইয়াবা রয়েছে। পরে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সেবনের পর পায়ুপথ দিয়ে এক হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা বড়ি বের হয়। নোয়াখালীর সুরামপুর থানার কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা আজাদের বিরুদ্ধেও মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ায় ইয়াবা পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে মহাসড়ক দিয়ে নিয়মিত মাদকের চালান পাচার হচ্ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু চালান ধরা পড়ছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জনবল সংকট ও অন্যান্য কারণে কিছুদিন চেকপোস্ট কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় চকরিয়া অংশে নিয়মিত চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। এর ফলে গত দুই দিনে সাড়ে চার হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিত চলবে। পাচারকারীরা যতই কৌশল নিক না কেন, পুলিশের নজরদারি এড়ানো কঠিন হবে। চিহ্নিত মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করতেও পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।
আরও পড়ুন:








