শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫ পৌষ, ১৪৩২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে অর্থ উপদেষ্টার চিঠি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:০৫

শেয়ার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে অর্থ উপদেষ্টার চিঠি
ছবি সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে এসেছে বড় অগ্রগতি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে একটি ডিও লেটার (আধাসরকারি পত্র) দিয়েছেন। ৩ আগস্ট প্রদত্ত এই পত্রকে এলাকাবাসী বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখছেন।

চিঠিতে অর্থ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, দেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখনো কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ বা আধুনিক হাসপাতাল নেই। ফলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সদর হাসপাতালেও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ডাক্তার সংকট রয়েছে, যার কারণে জরুরি ও জটিল রোগীদের ঢাকায় যেতে হয়—যা অধিকাংশের জন্য ব্যয়বহুল ও কষ্টকর।

তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভৌগোলিক অবস্থান কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের দূরত্ব যথাক্রমে প্রায় ১০০ ও ১৫০ কিলোমিটার হওয়ায়, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অভাব জনভোগান্তির কারণ হয়ে আছে। অথচ পূর্ববর্তী সরকার কম গুরুত্বপূর্ণ জেলা সদরেও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে।

চিঠিতে জেলার অর্থনৈতিক অবদানও তুলে ধরা হয়। বিদেশে কর্মসংস্থানে এ জেলা দেশের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আসে। এছাড়া দেশের বৃহত্তম তিতাস গ্যাসফিল্ডও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থিত, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এ প্রেক্ষিতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যার হাসপাতাল দ্রুত স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান অর্থ উপদেষ্টা।

এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, “এটি সময়ের দাবি ও প্রাণের দাবি। অর্থ উপদেষ্টার চিঠি আমাদের আশাবাদী করেছে।”

ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম এ খালেক বলেন, “আমরা সব জায়গায় এই দাবির পক্ষে কথা বলছি। অর্থ উপদেষ্টার চিঠি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, দ্রুত বাস্তবায়নের আশা করছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।”



banner close
banner close