শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫ পৌষ, ১৪৩২

বাঁশখালীতে জুলাই আন্দোলনকারীদের সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা সম্পন্ন

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৫০

শেয়ার

বাঁশখালীতে জুলাই আন্দোলনকারীদের সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা সম্পন্ন
ছবি বাংলা এডিশন

বাঁশখালীতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ‘জুলাই বর্ষপূর্তি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’। এ উপলক্ষে স্থানীয় সংগঠন ওয়ারিয়র্স অব জুলাই, বাঁশখালী জুলাই আন্দোলনের সাহসী অংশগ্রহণকারীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করে।

বুধবার বিকেলে শীলকূপস্থ হাজী সোলতান কমিউনিটি হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক এ দিনটির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একত্রিত হন বাঁশখালীর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সকাল থেকে শুরু হওয়া আনুষ্ঠানিক পর্বে ওয়ারিয়র্স অব জুলাই-এর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও চিকিৎসা-সেবায় অবদান রাখা ব্যক্তিদের সম্মানসূচক তিন শতাধিক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

বিশেষভাবে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাষ্ট্রীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে যে নাগরিকরা সরাসরি আন্দোলনে অংশ নেন, তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় "গর্বের সম্মাননা স্মারক"। এ ছাড়া আন্দোলনের সময় আহতদের পাশে দাঁড়িয়ে যারা চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, তাঁদেরও যথাযোগ্যভাবে সম্মানিত করা হয়।

অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠন এক বিবৃতিতে জানায়, “জুলাই আন্দোলন ছিল একটি ঐতিহাসিক প্রতিবাদের প্রতীক। যারা নিঃস্বার্থ ও সাহসিকতার সঙ্গে তাতে অংশ নিয়েছেন, তাদের যথাযথ সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।” তারা আরও বলেন, “দেশের প্রতিটি উপজেলায় এই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের অনুরূপভাবে সম্মানিত করা উচিত, যাতে ইতিহাসের সত্যিকারের বীরেরা ভুলে না যান সমাজ।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—বাঁশখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম,

সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বদরুল হক, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসমাইল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, রাজনৈতিক কর্মী ইমন ছৈয়দ, জাওয়াদুল করিম, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর কমিটির সদস্য জসীম উদ্দীন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি দিদারুল ইসলাম, সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলী নেওয়াজ চৌধুরী ইরানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং পেশাজীবী সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি থাকায় বাঁশখালী বিএনপির নেতৃবৃন্দ সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারলেও অনুষ্ঠানের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সংহতি জানান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শোয়াইবুল ইসলাম।

দিনের শেষভাগে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, যেখানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল দেশাত্মবোধক গান, আবৃত্তি ও কাওয়ালী। পুরো সাংস্কৃতিক আয়োজনটি বাঁশখালীবাসীর জন্য এক আবেগঘন মিলনমেলায় রূপ নেয়—যেখানে মিশে যায় গর্ব, স্মৃতি ও সংস্কৃতির অপূর্ব রঙ।

ওয়ারিয়র্স অব জুলাই, বাঁশখালী-এর এই ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং ইতিহাসের সাহসী অধ্যায়গুলো নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অতিথিবৃন্দ।



banner close
banner close