ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর হাতে আটক হওয়া শিশুসহ ১৩ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত আনা হয়। পরে বুধবার (৬ আগস্ট) আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ফেরতপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন পুরুষ, দুইজন নারী এবং ছয়জন শিশু। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা কাজের সন্ধান কিংবা পারিবারিক প্রয়োজনেই সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ৩৬২ নম্বর সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতীয় ৮৭ বোররা বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের আটক করে।
বিষয়টি জানার পর বিজিবি তাৎক্ষণিকভাবে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রাতেই হরিপুর সীমান্তের ৩৫৬ নম্বর প্রধান পিলারের কাছে দনগাঁও এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ আটক বাংলাদেশিদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরতপ্রাপ্তরা হলেন—রানীশংকৈল উপজেলার রাজোর গ্রামের মহেষ চন্দ্র রায় (৫৫); বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেলতলা গ্রামের রব্বানি (৩৫) ও তার ছেলে রাফি (৯); একই গ্রামের মামুনুর রশিদ (৩০), তার স্ত্রী সোহানা খাতুন (২২) এবং তাদের তিন সন্তান সাহেরা খাতুন (৬), নুর নবী (৪) ও এক পুত্র (৩); সারগা বস্তি গ্রামের মামুন (২৮), তার স্ত্রী ময়না বেগম (৩০) এবং তাদের দুই ছেলে রহমতুল্লাহ (৪) ও মোশাররফ (১২); এবং হরিপুর উপজেলার ভৈষাগজ রুহিয়া গ্রামের ওয়ালিদ (২০)।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া মণ্ডল বলেন, “পতাকা বৈঠক মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত হলেও, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বুধবার তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহমেদ বলেন, “আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পতাকা বৈঠকে অংশ নিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন:








