জুলাই বিপ্লব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় মিছিলে দুর্বৃত্তদের হামলায় মাদারীপুরে সাংবাদিকসহ তিন ভাই কুপিয়ে জখম হয়েছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জেলা বিএনপির একটি বিজয় মিছিল ডিসি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন– দৈনিক আমার বার্তা-র মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম লিখন মুন্সি এবং তার দুই সহোদর মিলন মুন্সি ও সোহাগ মুন্সি। আহত অবস্থায় তিনজনকেই মাদারীপুর আড়াইশ’ শয্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে লিখন ও সোহাগ মুন্সির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত পরিবারের সদস্য ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপি শকুনী লেকপাড় থেকে বিজয় মিছিল শুরু করে ইটেরপুলের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি ডিসি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎই দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। প্রথমে টার্গেট করে কুপিয়ে জখম করা হয় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম লিখনকে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মিলন মুন্সি ও সোহাগ মুন্সিকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় মিছিলের পাশেই মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আদিল হোসেন এবং সঙ্গীয় ফোর্স অবস্থান করছিলেন, কিন্তু তারা তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় সাংবাদিক মহলও এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আহত মিলন মুন্সি বলেন, “আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছিল সন্ত্রাসীরা। আমরা তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরও কুপিয়ে জখম করে। অনেক হামলাকারীকে আমি চিনি। যথাসময়ে তাদের নাম প্রকাশ করে মামলা করব।”
এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গত ২৩ মার্চ রাতে শ্রমিকদল নেতা মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে শাকিল মুন্সি হত্যার ঘটনায় শহিদুল ইসলাম লিখন মুন্সি ও তার ভাই অভিযুক্ত ছিলেন। সেই ঘটনার জের ধরেই আজকের হামলা হয়ে থাকতে পারে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও হামলার মুহূর্তে উপস্থিত হয়নি।”
এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, হামলার নেপথ্য কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন:








