শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫ পৌষ, ১৪৩২

টানা বর্ষণে ক্ষতবিক্ষত লামা ব্যস্ততম সড়ক

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট, ২০২৫ ১১:১০

শেয়ার

টানা বর্ষণে ক্ষতবিক্ষত লামা ব্যস্ততম সড়ক
ছবি সংগৃহীত

বান্দরবানের লামায় টানা বর্ষণে মাছ বাজারের মোড় হতে লামামুখ পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়কের বিভিন্ন অংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই সড়কের বেশিরভাগ স্থানে গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে প্রায়। ফলে যানবাহন ও পথচারীদের সাবধানে চলাচলের সতর্ক সঙ্কেত হিসেবে পতাকা টাংগিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাশয়ে পরিণত হয়ে যায়। একই সড়কের লামা পোস্ট অফিসের সামনে জায়গা ভরাটের মাটি পানির মিশ্রণে কাদার সাগরে পরিণত হয়েছে। এতে সিএনজি, টমটম, অটো রিক্সা ও যাত্রীবাহী বাইকারদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত খুবই মারাত্মক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি কাদা ময়লা পোশাক নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী বাড়িও ফিরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন হাজারো মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বাজারের ব্যবসায়ী ও কৃষকরা যাতায়াত করে থাকেন। এতে শুধু সাধারণ মানুষের ভোগান্তিই বাড়েনি, পৌর আংশিক ও দুইটি ইউপির উৎপাদিত কৃষিপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ইতিপূর্বে উপজেলা প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে সড়কের ভাঙ্গা অংশে ইটের খোয়া দিয়ে সাময়িক সমাধানস্বরূপ জোড়া তালি দিলেও "মরার উপর খাঁড়ার ঘা" হয়ে দাঁড়িয়েছে তা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, লামাবাজার হতে লামামুখ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বছর দেড়েক আগে সংস্কার করা হলেও তা ছিল পরিকল্পনাহীন ও অপর্যাপ্ত। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও ভাঙনের কবলে পড়ে সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সচেতন মহলের মতে, সঠিকভাবে ড্রেনেজ এবং গাইডওয়াল নির্মাণের অভাবেই আজকের এই বিপর্যয়। তারা আরো বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সড়কটি কোন যুদ্ধবিধ্বস্ত এরিয়ার মত হয়ে যায়। কারণ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানরা নামেমাত্র কোনরকম কাজ শেষ করে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করলে একে একে পুরো সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে।

সড়কের দুরবস্থার বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ জানান, প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসক বরাবর রিফারিং করার আবেদন জানানো হয়েছে এবং পরবর্তী বাজেটে আরসিসি ঢালাইয়ের আবেদনও করা হয়েছে, আশা করি হয়ে যাবে।



banner close
banner close