চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএমের দুটি কারখানায় সশস্ত্র হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। সোমবার (৪ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরি এলাকা থেকে প্রথমে মো. তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও চারজনকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—
১. মো. তাজুল ইসলাম (২৭), পিতা নুর আলম, পূর্ব হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ
২. মো. ইমন (২৬), পিতা বশির আহম্মদ, পরাগলপুর, জোরারগঞ্জ
৩. মো. সাদেক হোসেন (৩০), পিতা নিজাম উদ্দিন
৪. মো. হাসান (২২), পিতা আলাউদ্দিন
৫. মো. মাহবুব (২৬), পিতা মনির হোসেন, সেংগুয়া, কচুয়া, চাঁদপুর
র্যাব-৭ জানায়, গত ১ আগস্ট রাতে স্থানীয় সন্ত্রাসী ‘হক সাব’-এর নেতৃত্বে ১৮–২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রসহ বিএসআরএম স্টিল রোলিং-২ এবং স্টিল মেলটিং-২ কারখানায় হামলা চালায়। তারা কারখানার অফিস ও অন্যান্য স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রাংশ, নির্মাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ লুটে নেয়।
হামলার সময় কারখানার কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, নিরাপত্তাকর্মী মোরশেদ, ডাম্প ট্রাকচালক সোহাগসহ কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করা হয়। এছাড়া, অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাকর্মীদের জিম্মি করে স্ক্র্যাপ লোহা, টিন ও নগদ অর্থ লুটে নেয়া হয়। দুর্বৃত্তরা নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ বন্ধ না করলে হত্যার হুমকি দেয় এবং নির্দিষ্ট কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীর নাম ধরে খোঁজ করে।
ঘটনার পর বিএসআরএম কারখানার ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন মোল্লা জোরারগঞ্জ থানায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫–২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, গ্রেফতারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-৭।
আরও পড়ুন:








