সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ-২০২৫’ অনুষ্ঠান পালনের নির্দেশনা দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ হাজার ৫০০ টাকা। তবে ঝালকাঠির একাধিক বিদ্যালয়ে এ বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার হয়নি—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুষ্ঠান না করে শুধু পুরনো ব্যানার টাঙিয়ে ছবি তুলে প্রমাণস্বরূপ দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি কিছু বিদ্যালয়ে গত বছরের ‘তারুণ্যের উৎসব’ ব্যানার ব্যবহার করে অনুষ্ঠান দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।
৩১ জুলাই মির্জাপুর ও নাগপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। যদিও মির্জাপুর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, “অনুষ্ঠান হয়েছে, ব্যানার আগের।” কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানান, সেদিন কোনো কার্যক্রমই হয়নি।
নাগপাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকলেও ব্যানার তাঁর কাছে। কেন ব্যানার বিদ্যালয়ে নেই—এ প্রশ্নে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি কেউ।
এছাড়া রাজাপুর, প্রতাপমহল, নেহালপুরসহ কয়েকটি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান চললেও তাতে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ বা ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান’ বিষয়ক কোনো ব্যানার ছিল না, ছিল পুরনো ব্যানার।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “যেসব বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান বা ব্যানার হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন:








