শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫ পৌষ, ১৪৩২

রংপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:২০

শেয়ার

রংপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের
রংপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের।

রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হিন্দু বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনাকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইস্যু বানানোর পরিকল্পনা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উস্কানিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার সন্তোষ শর্মার কালবেলাসহ দেশের কিছু গণমাধ্যম। আর এদের মিথ্যাচারের সুযোগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।

তবে স্থানীয় বাসিন্দা গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা রঞ্জন কুমারের বাড়ি ভেবে তার চাচার বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। স্থানীয় এক পত্রিকায় বলা হয়েছে শনিবার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে রাসূল (সাঃ) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে রঞ্জন কুমার নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।

এসময় উত্তেজিত জনতা আবেগের বশবর্তী হয়ে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

হামলার ব্যাপারে অভিযুক্ত রঞ্জন কুমারের চাচী বলেন, মেম্বার কল দিয়ে রঞ্জনের ফেসবুক পোস্টের বিষয়টি জানান। পরে রঞ্জনকে নিয়ে থানায় যান তার চাচা। এরপরই রঞ্জনের বাড়ি ভেবে তাদের বাড়িতে কয়েক দফা হামলা চালায় ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

তবে প্রথম আলোর সংবাদ বলছে ভিন্ন কথা। তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সেদিনের হামলায় ২২টি বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট চালানো হয়।

অভিযোগ উঠেছে, পরিকল্পিতভাবে উস্কানি দিয়ে ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে প্রথম আলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গঙ্গাচড়ার স্থানীয় এক সাংবাদিকবাংলা এডিশনকে জানান, রঞ্জন কুমারের পোস্টকে কেন্দ্র করে একটি মাত্র বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে জনতা। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিপত্তি বাধে, যখন প্রশাসন সেই বাড়িটি মেরামতের জন্য টিন বরাদ্দ দেয়। ওই পরিবারকে টিন দেয়ার পর আরও চারটি পরিবার তাদের বাড়ির বেড়া টিনের চাল খুলে রাখে যাতে তারাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে টিন বরাদ্দ পায়। ওই সাংবাদিকের দাবি, প্রথম আলো পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই সংবাদটিতে বানোয়াট তথ্য জুড়ে দেয়।

শুধু তাই নয়, এনিয়ে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ তুলে তাকেও হুমকি দেন প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার জহির রায়হান কালবেলার রংপুর প্রতিনিধি রেজওয়ান রনি।

এনিয়ে ওসি আশরাফুল ইসলাম মুঠোফোনে বাংলা এডিশনকে বলেন, সাংবাদিক হয়ে তাদের এমন আচরণ দুঃখজনক।

এর আগে গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর ছয়আনি বালাপাড়া হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় এক হাজার ' জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এদের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার শুনানিতে গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল এমরান আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ কমল রায়ের আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রথম আলো ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগে, লালমনিরহাটে প্রথম আলো ডেইলি স্টার গং, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।



banner close
banner close