শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫ পৌষ, ১৪৩২

পেকুয়ায় দুই যুগ ধরে অবহেলায় কাদেরিয়া পাড়া সড়ক, চরম ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই, ২০২৫ ১৫:৫৬

শেয়ার

পেকুয়ায় দুই যুগ ধরে অবহেলায় কাদেরিয়া পাড়া সড়ক, চরম ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ
ছবি সংগৃহীত

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী কাদেরিয়া পাড়া সড়কটি প্রায় দুই যুগ ধরে অবহেলিত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রামীণ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্ষা মৌসুমে কাদা-মাটি আর খানাখন্দে পরিণত হওয়া সড়কটি দিয়ে চলাচল এখন প্রায় অসম্ভব। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন টইটংয়ের পশ্চিম অংশের অন্তত পাঁচটি গ্রামের প্রায় সাত হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, টইটংয়ের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন কাদেরিয়া পাড়া সড়কটি কাদেরিয়া পাড়া থেকে সিকদার পাড়া হয়ে মৌলভীবাজার-টইটং বাজার সড়কে গিয়ে মিশেছে। এক কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তাটিতে ইট নেই, রয়েছে বড় বড় গর্ত, বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত অবস্থার কারণে পায়ে হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা আরও জানান, প্রায় দুই যুগ আগে এলজিইডির অধীনে ব্রিক সলিংয়ের মাধ্যমে আংশিক উন্নয়ন হলেও এরপর কোনো সংস্কার হয়নি। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কর্মসংস্থান কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে সামান্য মাটি ভরাট করা হলেও তা কার্যকর সমাধান হয়নি।

এই সড়ক দিয়েই টইটং উচ্চ বিদ্যালয়, আল হেরা একাডেমি, টইটং ইক্কারা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টইটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাপিতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মৌলভীবাজার ফারুকিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। দুরবস্থার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জরুরি প্রয়োজনে রোগী পরিবহন করতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

টইটং ইউপি সদস্য ফয়সাল আকবর চৌধুরী বলেন, "দীর্ঘ দুই যুগ ধরে কাদেরিয়া পাড়া সড়কটি সংস্কার হয়নি। এটি এলাকার মানুষের প্রধান যোগাযোগমাধ্যম। অবিলম্বে এই সড়কটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার জরুরি।"

এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, "গ্রামীণ সড়কগুলোর সংস্কার চলমান রয়েছে। যেখানে মানুষের চলাচলে বেশি সমস্যা, সেগুলো অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কাদেরিয়া পাড়া সড়কের বিষয়ে লিখিত আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"

(এই প্রতিবেদনটি এখন তথ্যনির্ভর, নিরপেক্ষ এবং পেশাদার সাংবাদিকতার শৈলীতে সম্পাদিত। অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সরাসরি প্রকাশের উপযোগী। চাইলে সংক্ষিপ্ত সংস্করণও তৈরি করে দেওয়া যাবে।)



banner close
banner close