ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন—বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর—ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে যুক্ত করার খবরে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ প্রস্তাবিত আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১১টায় শত শত মানুষ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। তবে আধাঘণ্টা পর বিজয়নগর থানা পুলিশের আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
অবরোধে অংশ নেন বিএনপি নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, মো. রাস্টু সরকার, মোহাম্মদ আলী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান লিটন মুন্সী, জামায়াত নেতা শাহাবুদ্দিন, ছাত্রদল নেতা কাজী মিজানুর রহমান, নারী নেত্রী শিউলি চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ।
বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি ইউনিয়ন সদর সংলগ্ন এবং বিজয়নগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এসব এলাকা অন্য আসনে যুক্ত করা বিজয়নগরবাসীর সঙ্গে চরম অবিচার। তারা দ্রুত পুরাতন সীমানা পুনঃবহাল এবং বিজয়নগরকে পূর্ণাঙ্গ সংসদীয় আসন ঘোষণার দাবি জানান।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ বিষয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই উপজেলা ও এলাকার স্বার্থ রক্ষায় কঠোর কর্মসূচির আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ৪০টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকার বিরুদ্ধে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি, সুপারিশ ও অভিযোগ জানানো যাবে। এরপর শুনানি শেষে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন:








