রবিবার

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

পদ্মা রেল প্রকল্পে দুর্নীতি: মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ কর্মকর্তা দুদকের অনুসন্ধানে

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৪:২১

শেয়ার

পদ্মা রেল প্রকল্পে দুর্নীতি: মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ কর্মকর্তা দুদকের অনুসন্ধানে
ছবি সংগৃহীত

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আরও দুই সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অভিযুক্তদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি বুধবার সকালে নিশ্চিত করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের অধিগ্রহণ কার্যক্রমে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। অনুসন্ধান দলের প্রধান করা হয়েছে সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামানকে এবং সদস্য করা হয়েছে সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে।

দুদক আইন, ২০০৪-এর ১৯ ধারা এবং দুদক বিধিমালা, ২০০৭-এর বিধি ৮ অনুযায়ী অভিযুক্তদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথিপত্র চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশপ্রাপ্ত ১৩ জন কর্মকর্তার নাম:

মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক

ড. রহিমা খাতুন, সাবেক জেলা প্রশাসক

সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

ঝোটন চন্দ্র, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস, সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা

মোহাম্মদ সুমন শিবলী

প্রমথ রঞ্জন ঘটক

আল মামুন

মো. নাজমুল হক সুমন

মো. নাসির উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত কানুনগো

মো. আবুল হোসেন

রেজাউল হক

মানিক চন্দ্র মণ্ডল, রেকর্ড কিপার

এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগসংক্রান্ত নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য গ্রহণের পর আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



banner close
banner close