লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে এবং সাধারণ মানুষের সেবাপ্রাপ্তিতে বিঘ্ন ঘটছে।
জানা গেছে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে স্থায়ী কর্মকর্তা না থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। একইভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা, সমাজসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, মৎস্য এবং পরিসংখ্যান অফিসসহ অন্তত ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে নেই পূর্ণাঙ্গ কর্মকর্তা। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল অনুমোদনে দেরি হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা এবং নানা প্রশাসনিক বাধা।
স্থানীয় বাসিন্দা আতিকুল ইসলাম বলেন, “এসিল্যান্ড না থাকায় জমি রেজিস্ট্রেশন ও খারিজের মতো জরুরি কাজগুলোতে বিলম্ব হচ্ছে। ইউএনও’র একার পক্ষে এত কাজ সামাল দেওয়া খুবই কষ্টকর। এখানে একজন স্থায়ী এসিল্যান্ড প্রয়োজন।”
গড্ডিমারী এলাকার আবদুর রহিম বলেন, “ছয়টি দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে কাজ চলায় আমরা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।”
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা বলেন, “একাধিক দপ্তরে স্থায়ী কর্মকর্তা না থাকায় প্রশাসনিক কাজ পরিচালনায় চাপ তৈরি হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি এবং সময়মতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল দ্রুত এসব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মকর্তার নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:








