হবিগঞ্জের ভাটি অঞ্চল আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওরে এখন বর্ষার মৌসুম। পানি বেড়ে যাওয়ায় হাওর এলাকার খাল-বিলে দেখা মিলছে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা। তবে অসাধু একটি চক্র নিয়মিতভাবে এসব পোনা ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে দেশীয় মাছের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ছে।
স্থানীয়দের দাবি, এক শ্রেণির জেলে প্রকাশ্যে অবৈধ জাল ব্যবহার করে পোনা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করছেন। প্রশাসনের অভিযানের পরও থামছে না এই পোনা নিধন। ফলে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠতে পারে।
লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজার, লাখাই ও লোকড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জেলেরা টাকি, শোল, গজার, বোয়াল, পুঁটি, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ বিক্রি করছেন। এসব মাছের দাম তুলনামূলক বেশি হলেও চাহিদা রয়েছে। অনেকে জীবিকার তাগিদে এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানান।
লাখাই উপজেলার এক জেলে সুভাষ সূত্রধর বলেন, “মাছ ধরা ছাড়া আমার কোনো উপার্জনের পথ নেই। হাওরে এখন বেশি উঠছে পোনা মাছ। তাই বাধ্য হয়েই সেগুলো ধরছি।”
আরেক জেলে হাবিব মিয়া বলেন, “দিনে যা পাই তা দিয়েই সংসার চলে। পোনা মাছ না ধরলে ঘরে খাবার থাকবে না।”
এদিকে ক্রেতা ইমন আহমেদ জানান, “পোনা নিধন ঠিক নয় জানি, কিন্তু বাজারে যা আছে তাই কিনতে হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার বলেন, “পোনা নিধন ও অবৈধ জাল ব্যবহার রোধে নিয়মিত অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অভিযানে নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, হাওরে মাছের প্রজনন মৌসুমে কড়া নজরদারি এবং সচেতনতামূলক উদ্যোগ না নিলে দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্তির পথে চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:








