চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এক বৃদ্ধকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গুরুতর আহত ওই বৃদ্ধের নাম আলী আকবর।
তিনি জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের মাঝপাড়ার মৃত: নুর ইসলামের ছেলে। গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। স্থানীয় এক যুবক তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করেন।
এরপর পরিবারের সদস্যরা গ্রাম্য চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার দুপুরে আলী আকবরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে আলী আকবর বলেন, সকালে আমি চা পান শেষে হুদাপাড়া সীমান্তের কাছাকাছি যায়। এ সময় তিনজন বিএসএফের সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে এসে আমাকে ধরে বেধড়ক পেটাতে থাকে।
তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বলি, আমি তো সীমান্ত অতিক্রম করেনি তাহলে আমাকে মারছেন কেন? তবুও তারা আমাকে রাইফেলের সামনের অংশ দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে খোচাতে থাকে এবং পেটাতে থাকে। এরপর আমাকে ফেলে রেখে তারা চলে যায়।
আলী আকবরের স্ত্রী ময়না খাতুন বলেন, স্থানীয় এক যুবক হুদাপাড়া সীমান্তের পাশে একটি কৃষি জমিতে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে নিয়ে এসে আমাদেরকে কাছে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, তার হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ থাকায় কুড়ুলগাছি গ্রামের পারভিন ড্রাগ হাউজ নামের একটি ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। হাত ও পায়ে ক্ষতস্থানে একাধিক সেলাই দিতে হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, তার এক হাত-পায়ে ক্ষতস্থানে আগে থেকেই একাধিক সেলাই করা ছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে সেলাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহতের পরিবার। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা- ৬ বিজিবির অধিনায়ক নাজমুল হাসান বলেন, সীমান্তের কোন স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সেটা ঠিক হয়নি। অন্যায়ভাবে কেউ কাউকে মারতে পারেনা। কোন কিছু ঘটলে আইনের মাধ্যমে সমাধানে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন:








