শনিবার

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫ পৌষ, ১৪৩২

শীলকূপ ইউনিয়নে গ্রাম আদালতে ন্যায়বিচার পেয়ে সন্তুষ্ট বিচারপ্রার্থীরা

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:৫৪

শেয়ার

শীলকূপ ইউনিয়নে গ্রাম আদালতে ন্যায়বিচার পেয়ে সন্তুষ্ট বিচারপ্রার্থীরা
ছবি বাংলা এডিশন

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদে পরিচালিত গ্রাম আদালত কার্যক্রমে ন্যায়বিচার পেয়ে সন্তুষ্ট বিচারপ্রার্থীরা। মাত্র ২০ টাকায় মামলা পরিচালনার সুযোগ থাকায় সাধারণ জনগণের মাঝে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত ও স্বচ্ছ বিচার পাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদকে ধন্যবাদ জানান।

রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর ও সরল এলাকার কাহারঘোনা গ্রামের মো. কাশেম ও শাহাব উদ্দীনের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করছে গ্রাম আদালত। উভয়পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে আদালতের রায় মেনে নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

জানা যায়, শীলকূপ ইউনিয়নে প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার গ্রাম আদালত বসে। এ দু’দিনে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে পরিষদ চত্বর মুখর হয়ে ওঠে।

বিচারপ্রার্থীরা জানান, “আমরা দীর্ঘদিন পারিবারিক বিরোধে ভুগছিলাম। বড় আদালতে গেলে খরচ ও সময় অনেক লাগতো। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে মাত্র ২০ টাকায় ফরম পূরণ করে মামলা করেছি, এবং দ্রুত রায় পেয়েছি। আমরা অত্যন্ত খুশি।”

শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ নুরী বলেন, “জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় বিচারসেবা পৌঁছে দিচ্ছি, এতে সময়, টাকা ও ভোগান্তি—সবকিছুই কমে এসেছে। আমি পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২০০-র অধিক গ্রাম আদালত পরিচালিত হয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “ইউনিয়নবাসীর মাঝে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যাতে করে সবাই সহজেই গ্রাম আদালতের সুফল নিতে পারে।”

রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত গ্রাম আদালত কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ নুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অরুণ জয় ধর, ইউপি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস লাকি, জান্নাতুল ফেরদৌস, নুসরাত আলম, ফিরোজ সিকদার, কফিল উদ্দিন, মিজানুর রহমান সিকদার, মো. ইউনূস, মো. ইউসুফ এবং পরিষদের চৌকিদার ও দফাদারবৃন্দ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় পরিচালিত গ্রাম আদালত প্রকল্প বর্তমানে গ্রামীণ জনগণের কাছে একটি আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। মামলার জট কমানো এবং প্রাথমিক পর্যায়ে বিরোধ মীমাংসায় এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।



banner close
banner close