গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রিকশাচালক রমজান মুন্সি নিহতের ঘটনায় আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
শনিবার গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিহতের ভাই জামাল মুন্সি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হলেও কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে যানজট তৈরি হয়। দুপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা গ্যারেজে রেখে রমজান মুন্সি খাবার খেতে বাড়ি ফিরছিলেন। বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে সেখানে কয়েক হাজার লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।
মিছিলকারীরা দোকানপাট ভাঙচুর ও পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে। তখন যৌথবাহিনী ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় রমজান লঞ্চঘাটের ফলপট্টিতে অবস্থান নেন।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা যৌথবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। যৌথবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় রিকশাচালক রমজান মুন্সি নিরাপত্তার জন্য চৌরঙ্গী সিনেমা হলের গলিতে আশ্রয় নেন। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে সিনেমা হলের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় রমজানের বুকের ডান পাশে গুলি লাগে এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে রমজান মুন্সি মারা যান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘১৬ জুলাই এনসিপির পদযাত্রা কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলাকলে রমজান মুন্সি নিহতের ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’
আরও পড়ুন:








