চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার তারাপুর পন্ডিতপাড়ার যুবক মোঃ সেলিম মিয়া (২৫) সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর অভিযানে চোরাকারবারি আহত হয়েছেন বলে গতকাল বিজিবি জানিয়েছে। তবে বিজিবি চোরাকারবারি হিসেবে উপস্থাপন করায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে।
বিজিবির ৫৩ ব্যাটালিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ জুলাই ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে শিংনগর বিওপির সীমান্ত পিলার ৪/৫-১ এস সংলগ্ন এলাকায় ২-৩ জন চোরাকারবারীর একটি দল চোরাচালানের উদ্দেশ্যে সীমান্ত অতিক্রম করে। এ সময় ভারতের ৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দৌলতপুর ক্যাম্পের সদস্যরা চোরাকারবারীদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এ সময় মোঃ সেলিম মিয়া আহত হন বলে দাবি করা হয়। বিজিবি আরও জানায়, বিএসএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে বিএসএফ জানায়, 'তারা সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধাওয়া করে এটা সঠিক, তবে গুলি ছোঁড়ার অভিযোগটি সঠিক নয়।'
বিজিবি'র পক্ষ থেকে বাংলা এডিশনকে জানানো হয়েছে, আহতের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য এখনো মেলেনি এবং সেলিম মিয়ার অবস্থানও নিশ্চিত করা যায় নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হয়তো কোনো প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। আমরা সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।
এদিকে আহত সেলিম মিয়ার বড় ভাই আতিকুর রহমান বাংলা এডিশনকে জানান, তার ভাই কোনো চোরাকারবারিতে জড়িত নন। তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার দিন ভোরে তার ভাই নিজ জমিতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে তথাকথিত চোরাকারবারিদের ধাওয়া করলে ভয়ে পালাতে গিয়ে তার ভাই পায়ে আঘাত পান।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন। তারা জানান, ২৪ জুলাই সকালে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে সেলিম মিয়াকে গুলি করে আহত করে। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা সীমান্ত এলাকায় নিরীহ কৃষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ তাদের উপস্থিতি ও তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। সীমান্তে এ ধরনের বিএসএফের কর্মকাণ্ড সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের আতঙ্কিত করে তুলছে। এ ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্ত ও আহত যুবকের অবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন:








