রবিবার

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

অভিযোগ তুলে নিতে চাপ, ঝালকাঠিতে লিমনের বাবার ওপর হামলা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৪:২১

আপডেট: ২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৩০

শেয়ার

অভিযোগ তুলে নিতে চাপ, ঝালকাঠিতে লিমনের বাবার ওপর হামলা
ছবি সংগৃহীত

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো পঙ্গু লিমন হোসেনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন (৫৫) প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা একটি অভিযোগ প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) জুমার নামাজের পর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের ইঁদুরবাড়ি গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বিকেলে ভুক্তভোগী তোফাজ্জেল হোসেন রাজাপুর থানায় চারজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী ইব্রাহীম হাওলাদার ও আবদুল হাইয়ের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। ঘটনার দিন জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর ইব্রাহীম, আবদুল হাইসহ আরও দুজন তাকে ঘিরে ধরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন।

এই অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ নয়জনের নাম রয়েছে। কিন্তু তোফাজ্জেল হোসেন তা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্তরা তাকে মারধর করে পালিয়ে যায়।

তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে লিমনের দায়েরকৃত অভিযোগ তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় প্রতিপক্ষ আমার ওপর হামলা চালায়। এর আগেও ইব্রাহীম হাওলাদারের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি, সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ বিষয়ে সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক ও র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেন বলেন, ‘আমার বাবার ওপর হামলার বিচার চাই। আইনগত প্রক্রিয়ায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

তবে অভিযুক্ত ইব্রাহীম হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লিমন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এসব ভিত্তিহীন।’

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে র‌্যাবের গুলিতে আহত হন কলেজছাত্র লিমন হোসেন। তার দাবি, র‌্যাব সদস্যরা তাকে ধরে এনে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন। এতে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়। ওই ঘটনায় র‌্যাব লিমনসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে, যেখানে অভিযুক্ত ইব্রাহীম হাওলাদার ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন।



banner close
banner close