ছবি সংগৃহীত
ঝিনাইদহে ব্যাংকে সিকিউরিটি হিসেবে জমা রাখা চেক চুরি করে তা ব্যবহার করে ভুয়া মামলা দায়েরের অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী দম্পতি। শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহের একটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা ইয়াসমিন আক্তার ও তার স্বামী শফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসমিন আক্তার জানান, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান "সালিম ট্রেডার্স"-এর জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি ঝিনাইদহ শাখা থেকে ১৮ লাখ টাকা ঋণ নেন। এ সময় তিনি জমির দলিল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ৩৭টি স্বাক্ষর করা ফাঁকা চেক (সিরিয়াল: ০৭৫১৩৯৯-০৭৫১৪৩৫) ব্যাংকে জমা দেন।
ঋণ নেয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী ১৩টি চেক ব্যবহার করে তিনি কিস্তি পরিশোধ করেন। বাকিগুলো ব্যাংকের ভল্টে থাকার কথা। কিন্তু সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, ০৭৫১৪৩৪ নম্বর চেকটি ব্যবহার করে কোটচাঁদপুর উপজেলার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন তার বিরুদ্ধে ৯৭ লাখ টাকার একটি মামলা (সি.আর. ২৩৯/২৫) দায়ের করেছেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে চেক আমি ব্যাংকে জমা দিয়েছি, সেটি একজন বহিরাগত কীভাবে পেলো? এটা স্পষ্টতই একটি চক্রান্ত, এবং ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তা ও একটি জালিয়াত চক্র এতে জড়িত।”
তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে জালিয়াত চক্রের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।
এ ঘটনা জানাজানির পর সচেতন মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন—"সিকিউরিটি চেক যদি ব্যাংকের হেফাজতেই না থাকে, তবে গ্রাহকের নিরাপত্তা কোথায়?"
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক মো. রকিবুজ্জামানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “ব্যাংকের ম্যানেজার একটি ঋণসংক্রান্ত বিষয়ে জিডি করতে এসেছিলেন। যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে, তাই আমি কোনো পরামর্শ দেইনি।”
আরও পড়ুন:
