বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-বরিশাল নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে জরুরি প্রয়োজনে ঘাটে আসা যাত্রীরা মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর থেকে মেঘনায় বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলার ইলিশা ও দৌলতখান নৌঘাট দিয়ে ছোট নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও ৩ নম্বর স্থানীয় বিপদ সংকেতের আওতায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকার কথা, তবে নদীতে তীব্র রোলিং থাকায় ফেরি চলাচলও স্থগিত রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ ভোলা শাখার উপপরিচালক মো. রিয়াদ হোসেন বলেন,
"সমুদ্রপারে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। ঝুঁকির কারণে দৌলতখান ও ইলিশা ঘাটে সব ধরনের ছোট নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। মেঘনায় তীব্র ঢেউয়ের কারণে ফেরিও চলাচল করতে পারছে না।"
অন্যদিকে, ভোলা-ঢাকা ও ঢাকা-ভোলা রুটে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে ইলিশা ঘাটে দেখা যায় চরম হতাশা ও উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছেন শত শত যাত্রী। এদের অনেকেই জরুরি কাজে কিংবা পারিবারিক সংকটে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য এসেছেন।
বাবার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘাটে এসে পৌঁছান তাছলিমা নামের এক নারী। তিনি বলেন,
"রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার বাবা মারা যান। ভোর ৫টায় ঘাটে এসে বসে আছি, এখনও যেতে পারিনি। ফেরি নেই, কখন যেতে পারব তাও জানি না। হয়তো বাবার মুখও আর দেখা হবে না। ভাইকে অনুরোধ করেছি ভিডিও করে পাঠাতে।”
চট্টগ্রামগামী পোশাক শ্রমিক মুক্তা জানান,
“সকাল ৭টার লঞ্চ ধরার জন্য এসেছিলাম। লঞ্চ বন্ধ থাকায় এখন বিপাকে পড়েছি। কাজেও যেতে পারছি না, বাড়িতেও ফিরতে পারছি না।”
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ভোলার ইলিশা ঘাটে এ সময় অসংখ্য যাত্রীকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। ঘাটে নেই কোনো পর্যাপ্ত ঘোষণা বা সহায়তা ব্যবস্থা, যা যাত্রী দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন:








