উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থী মাহতাব রহমান ভূঁইয়া (১৪) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার আইসিইউর ১১ নম্বর বেডে আহতের পর থেকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ দুপুরে মারা যায়।
ক্ষুদে শিক্ষার্থী মাহতাবের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
মাহতাবের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত মাহতাব রহমান ভূঁইয়া। তার বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া প্রতিদিন তাকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতেন।
মাহতাবের মামা মহিবুল হাসান শামীম বলেন, ‘মাহতাব আমার ভাগিনা, সে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার আইসিইউর (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ১১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৪৫ মিনিটে মারা যায়।
গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায়এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ৩৩ জনে পৌঁছেছে যাদের বেশির ভাগই শিশু। আহত ও দগ্ধ ৫৭ জন এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসহ (সিএমএইচ) বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত মাহতাব ভূঁইয়ার পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার চুলাশ গ্রামে। নিহত মাহতাব কে আজ রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন:








