রবিবার

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

বাগাতিপাড়ায় নাগরিক সেবা নয়, বাড়তি কর বিলেই ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই, ২০২৫ ১১:৩৮

শেয়ার

বাগাতিপাড়ায় নাগরিক সেবা নয়, বাড়তি কর বিলেই ক্ষোভ
ছবি সংগৃহীত

নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভায় নাগরিক সেবার অভাবে ভুগছেন এলাকাবাসী, অথচ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত চার্জ সংবলিত দুর্বোধ্য কর বিল। ভাঙা সড়ক, অকার্যকর ড্রেনেজ, অচল স্ট্রিটলাইট, অনুপস্থিত পানির সরবরাহের বাস্তবতায় ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রেইট’, ‘বিদ্যুৎ রেইট’সহ একাধিক খাতে পৌর কর আরোপে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ পৌরবাসী।

বিলের ভাষা এতটাই জটিল যে অনেকে একে সরকারি জরুরি নোটিশ ভেবে আতঙ্কে পড়েছেন। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯–এর ৭৮ ধারায় নাগরিক মতামতের ভিত্তিতে কর নির্ধারণ এবং ৮৬ ধারায় সেবা না দিলে কর আদায়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাগাতিপাড়ায় তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “বিদ্যুৎ নেই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও দেখি না, অথচ বিল দিচ্ছে। বাড়ির সামনে নিজের টাকায় ড্রেন করেছি, পরিষ্কারও করি নিজেই। বিদ্যুৎ বিল তো আলাদা দিই—তাহলে এই ‘বিদ্যুৎ রেইট’ কেন?”

এ বিষয়ে পৌরসভার সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন,

“পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মাঝে মাঝে করা হয়।”

তবে বিদ্যুৎ সেবা ছাড়াই ‘বিদ্যুৎ রেইট’ আরোপ প্রসঙ্গে কোনো ব্যাখা না দিয়ে তিনি কর শাখায় যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

বর্তমান পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ আফজাল রাজন বলেন,

“এই কর কাঠামো আগের প্রশাসন নির্ধারণ করেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর নাগরিক সেবা চালুর চেষ্টা করছি। কেউ কর বেশি মনে করলে আবেদন করলে পুনর্বিবেচনা করা হবে।”

অস্পষ্ট বিল, অতিরিক্ত চার্জ এবং কোনো পূর্ব আলোচনার অভাবে পৌরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। অনেকে বলছেন,

“আলোচনা ছাড়া এই বিল কেন? প্রয়োজনে পৌরসভা ঘেরাও করব।”

প্রায় ২০ হাজার মানুষের এই পৌর এলাকায় বাস্তব সেবার তুলনায় বাড়তি কর চাপ অযৌক্তিক বলে মনে করছেন নাগরিকরা। প্রশ্ন উঠছে, সেবা ছাড়া কর আদায় কতটা আইনসম্মত ও ন্যায্য?



banner close
banner close