হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের গরমছড়ি গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষ এখন চলাচলের জন্য ভরসা রাখছেন কলাগাছের তৈরি ভেলায়। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাইজগাঁও এলাকার একমাত্র কাঠের সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে নির্মিত সাঁকোটি ছিল রানীগাঁও বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও চুনারুঘাট শহরের সঙ্গে সংযোগের একমাত্র পথ। আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে গত রোববার ধসে পড়ে।
সাঁকো ভেঙে যাওয়ার পর বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় গ্রামবাসীরা কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগী ও কৃষকরা। কৃষকরা ধান ও সবজি বাজারজাত করতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মহিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, “অস্থায়ী কাঠের সাঁকোটিই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা। এখন সেটাও নেই। কলাগাছের ভেলায় পার হতে হচ্ছে। দ্রুত একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণই আমাদের একমাত্র দাবি।”
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, “সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। পাহাড়ি ঢলে তা ভেসে গেছে। গত অর্থবছরে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।”
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি সংস্কারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন সেটি ভেঙে যাওয়ায় তারা চরম দুর্ভোগের শিকার। তারা অবিলম্বে একটি টেকসই ও স্থায়ী সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন:








