যশোরের ঝিকরগাছায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক যুবদল কর্মী, তার বাবা ও ফুফাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের চান্দেরপোল মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে যুবদল কর্মী আরাফাত হোসেন লাল্টুর হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার মাথা ও ঘাড়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। লাল্টু উপজেলার গুণনগর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় লাল্টুর পক্ষীয় রুবেলকে চান্দেরপোল মোড়ে ধরে আনেন তার প্রতিপক্ষরা। এ সংবাদ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে লাল্টু, তার বাবা মতলেব হোসেন ও ফুফাতো ভাই মামুন। তখন প্রতিপক্ষ মিজান, সোহাগ ডাক্তার, রশিদ ও রেজা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত লাল্টুর ওপর হামলা চালায়। দা ও চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে লাল্টুর ডান হাতের কব্জি অর্ধেক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথা ও ঘাড়ে মারাত্মক জখম হয়।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক, দলে তার ঠাঁই হবে না। বিএনপি বা তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন থেকে কোনো বিশৃঙ্খলা করার উপায় নেই। আর অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
ঝিকরগাছা থানার ওসি নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুইগ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। এ ঘটনা তারই জের।’
আরও পড়ুন:








