রবিবার

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

ঘুমধুমে অপহরণের ৪ দিন পর গলিত মরদেহ উদ্ধার: আটক ২

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ জুলাই, ২০২৫ ২০:৩৮

শেয়ার

ঘুমধুমে অপহরণের ৪ দিন পর গলিত মরদেহ উদ্ধার: আটক ২
ছবি সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া গ্রামের ঢলুবনিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহরণের ৪ দিন পর ছৈয়দ নুর (৩১) নামের এক ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

নিহত ছৈয়দ নুর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দরগাহবিল বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং আলী আহমদের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জোবাইদা বেগম নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযানে ২১ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আজুখাইয়া এলাকার দুর্গম পাহাড়ের গহীন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

আটককৃতরা হলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া এলাকার ওছিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২৬) এবং ৬নং ওয়ার্ডের ফকিরপাড়ার অস্থায়ী বাসিন্দা অলী উল্লাহর ছেলে রহমত উল্লাহ। জানা গেছে, রহমত উল্লাহ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১-এর একজন আশ্রিত রোহিঙ্গা।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)

মাসরুরুল হক জানান, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ঘাতকরা ছৈয়দ নুরকে আজুখাইয়ার গহীন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গলায় প্লাস্টিকের গামটেপ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আটককৃতরা এ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।

নিহতের সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মাসরুরুল হক।



banner close
banner close