শিশুর প্রাণ অমূল্য, একটি অসতর্কতা অনেক স্বপ্নকে নিভিয়ে দিতে পারে’—এমন বার্তা নিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশু মৃত্যু, বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও মা-সমাবেশ।
শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস।
বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন—সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামানিক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুমী কায়ছার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাফর আহমেদ লস্কর, আইসিটি কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, গণমাধ্যমকর্মী রেজাউল ইসলাম ও সুদীপ্ত শামীম, ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহানুর রহমান এবং উপকারভোগী মৌসুমী বেগম, জেসমিন বেগম ও মারুফা বেগম।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলায় শিশুদের পানিতে পড়ে মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে তারা অভিভাবকদের অসচেতনতা ও নজরদারির অভাবকে দায়ী করেন। তাদের মতে, সামান্য সতর্কতা ও সচেতনতাই হতে পারে একটি শিশুর প্রাণ বাঁচানোর মূল উপায়।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, শিশু সুরক্ষার পাশাপাশি বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধেও পরিবারের, বিশেষ করে মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলেন, “মায়ের চোখ খুললে সমাজও জেগে ওঠে।” তাই প্রতিটি মাকে হতে হবে সচেতন, সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সভায় বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, প্রতিটি শিশুমৃত্যু আমাদের ব্যথিত করে। কিন্তু এসব ঘটনার থেকে শিক্ষা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়। পরিবারভিত্তিক সচেতনতা গড়ে তুললেই সমাজ থেকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে।
শিশু সুরক্ষা এবং সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে মায়েদের অংশগ্রহণমূলক সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দেয় বলে মত প্রকাশ করেন আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা।
আরও পড়ুন:








