সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

সেন্টমার্টিনে নতুন জেটি নির্মাণে গতি, স্বস্তিতে দ্বীপবাসী ও পর্যটকরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:৫৫

শেয়ার

সেন্টমার্টিনে নতুন জেটি নির্মাণে গতি, স্বস্তিতে দ্বীপবাসী ও পর্যটকরা
ছবি সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের দাবির পর অবশেষে সেন্টমার্টিন দ্বীপে শুরু হয়েছে নতুন জেটি নির্মাণের কাজ। বর্তমানে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই জেটিতে থাকবে ৭০টি পিলার, স্টিলের অবকাঠামো ও দুটি সিঁড়ি। আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের বুকে ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন পূর্ব সৈকতের জেটি। ২০০২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জেটি নির্মাণ করে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কক্সবাজার জেলা পরিষদ মাঝে মাঝে কিছু মেরামত করলেও ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর জেটিটি ধীরে ধীরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভেঙে পড়া রেলিং, খসে পড়া সিমেন্ট ও কাঠের অস্থায়ী পথ দিয়ে চলাচল করছিলেন পর্যটক ও বাসিন্দারা।

দ্বীপের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে নতুন জেটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কাজের দায়িত্ব পেয়েছে এস এস রহমান ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি মো. আলী হায়দার জানান, “নতুন জেটি স্টিলের কাঠামো দিয়ে নির্মাণ করা হবে, যা আগের চেয়ে আরও বেশি টেকসই ও নিরাপদ হবে। নভেম্বরের পর্যটন মৌসুম শুরুর আগেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যে মে মাস থেকে কাজ শুরু হয়েছে।”

জেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও নির্মাণ কাজের মান নিয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি আবদুল মাজেদ বলেন, “৭০টি পিলারের মধ্যে অধিকাংশের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে চেষ্টা চলছে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা নতুন জেটির নির্মাণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ বলেন, “দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হওয়ায় আমরা খুশি। এতে শুধু বাসিন্দারা নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পর্যটকরাও উপকৃত হবেন।”

আরেক বাসিন্দা গুরা মিয়া বলেন, “সেন্টমার্টিন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। নিরাপদ ও স্থায়ী জেটি ছাড়া যাতায়াতে ঝুঁকি থেকেই যায়। নতুন জেটিতে যেন কোনো অনিয়ম না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”

নতুন জেটির নির্মাণ শেষ হলে দ্বীপবাসী ও পর্যটকদের যাতায়াতে যে দুর্ভোগ ছিল, তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে বলে প্রত্যাশা সকলের। নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধানে থাকা জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা হচ্ছে।



banner close
banner close