রবিবার

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

নড়িয়ায় ইতালি প্রবাসীর বাড়ি ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই, ২০২৫ ১৫:৩৮

শেয়ার

নড়িয়ায় ইতালি প্রবাসীর বাড়ি ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ
ছবি সংগৃহীত

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর এলাকায় ইতালি প্রবাসী আরিফ সিকদার ওরফে আতিক সিকদারের বাড়িঘর ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্ত্রী ও তার আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে। এছাড়া হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।

ভুক্তভোগী প্রবাসীর ভাগ্নে ফারুক সরদার এ ঘটনায় শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলা দায়েরের পর থেকে নিজেই নিরাপত্তার অভাবে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানান তিনি।

ফারুক সরদার অভিযোগ করেন, তার মামা আরিফ সিকদার দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে কর্মরত। সেই সুযোগে মামির পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে তিনি প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠকের পর প্রবাসী আরিফ স্ত্রী কুলসুমা বেগমকে তালাক দিয়ে পুনরায় ইতালি ফিরে যান।

এরপর ২১ মে ২০২৫ তারিখে কুলসুমার ভাই নিয়ামত বেপারী ও ইউসুফ বেপারীর নেতৃত্বে আরও কয়েকজন—সাহেদালী বেপারী, সওদাগর বেপারী, মিজান বেপারী ও ওয়াসিম খাঁ—প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং প্রায় ৬ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে বলে অভিযোগ করেন ফারুক। তিনি আরও জানান, বাধা দিতে গেলে তাকেও হুমকি দেওয়া হয় এবং কুলসুমা জোরপূর্বক ওই ঘরে বসবাস শুরু করেন।

ফারুক বলেন, “আমার মামা স্ত্রীকে পরকীয়ার কারণে তালাক দিয়েছেন। ক্ষিপ্ত হয়ে কুলসুমা ও তার লোকজন বাড়িঘর দখল করে। আমি বাঁধা দিতে গেলে শোনেনি কেউ। এখন মামলা করায় আমাকেই পালিয়ে থাকতে হচ্ছে।”

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্তদের একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”



banner close
banner close