সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৩৩

শেয়ার

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসি
ছবি বাংলা এডিশন

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিন জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর আলী শেখ এ রায় ঘোষনা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে স্বাধীন আলী (৩৭) ও চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ফার্ম পাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক (২৭)।

এছাড়া আরেকটি মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে জমির উদ্দীন (৪৮)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৯ মে রাতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরাধের জেরে একদল দৃর্বুত্ত কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। কামালের স্ত্রী বাড়ির বাইরে বের হলে তাকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে কামালকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামাল হোসেনক মৃত ঘোষনা করেন।

একই বছরের ১১ মে নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ইকরামুল হোসাইন গত ২০২২ সালের ৩১ জুলাই পাঁচজনকে আসামী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ মামলার ১ নং আসামী স্বাধীন আলী ও ৬ নং আসামী আশিকুর রহমান বাদশা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারাক্তিমূলক জবাদবন্দি প্রদান করেন। ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে সন্দেহাতীতভাবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে তাদের দুজনকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

একইসাথে উভয় আসামীকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। ওই মামলা থেকে ৫ জনকে খালাস দেয়া হয়।

এদিকে, ২০২২ সালের ১৬ জুন দুপুরে পূর্ব শক্রতার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাব বাবলু রহমানকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত হত্যা করা হয়। সেদিনই নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন জীবননগর থানার উপ পরিদর্শক সৈকত পাড়ে। এতে একমাত্র অভিযুক্ত ছিলেন জমির উদ্দিন।

১৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে বাবলু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে জমির উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। একইসাথে তাকেও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মারুফ সারোয়ার বাবু বলেন, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুটি হত্যা মামলায় তিন আসামীর ফাঁসির আদেশ সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।



banner close
banner close