কুমিল্লায় জোনাল সেটেলমেন্ট (রেকর্ড রুম) ভূমি অফিসের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চলছে একটি পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। এতে প্রতিদিন সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কায়।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সাল থেকে ভূমি অফিসটির নিজস্ব ভবন না থাকায় কুমিল্লা জেলা পরিষদের পুরাতন একটি ভবনে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ২০১৬ সালে তৎকালীন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন। এরপরেও কোনো সংস্কার না করেই চলছে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম।
চার দশক আগে নির্মিত ভবনটির ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়ে, দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ে, রড বের হয়ে এসেছে। এতে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান রেকর্ড কিপার আবুল বাশার।
এ অবস্থাতেও নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কানুনগো) শাখাওয়াত হোসেন, সার্ভেয়ার মহসিন আখন্দ ও চেইনম্যান শহিদউল্লাহ।
সেবা নিতে আসা অনেকেই ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দেখে আতঙ্কিত হন। নাঙ্গলকোট থেকে আসা সেবাগ্রহীতা আব্দুর রহিম বলেন, “১০-১২ বছর ধরে ভবনটির অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দুর্ঘটনার ভয় নিয়ে অফিসে আসতে হয়।”
এ বিষয়ে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার (যুগ্ম সচিব) মীর শওকত হোসেন জানান, “নিজস্ব ভবনের অভাবে কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজবাড়ীতে পৌর ভূমি অফিসের পাশে নতুন ভবনের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নির্মাণকাজ শুরু হবে।”
ভূমি সেবাগ্রহীতারা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি দ্রুত অপসারণ করে নিরাপদ ও স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:








