কেশবপুর ইউনিয়ন বিএনপির ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ৮নং ওয়ার্ডের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বশির সিকদার সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। ৪ জুলাই কেশবপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত জনসংযোগ কর্মসূচিতে তাকে সামনের সারিতে জামায়াত নেতার পাশে দেখা যায়। ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির ভেতরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এটি একটি স্পষ্ট দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা। একজন দায়িত্বশীল বিএনপি নেতা হয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের এক নেতা বলেন, বশির সিকদারের এই কর্মকাণ্ড দলকে বিব্রত করেছে। যদি এখনই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কেউ দলীয় নাম ব্যবহার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে সাহস পাবে।
তবে এই ঘটনার পরও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূলের কর্মীদের মাঝে। স্থানীয় এক নেতা অভিযোগ করেন, বশির সিকদার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির আত্মীয় হওয়ায় তাকে রক্ষা করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের চাপ থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনকভাবে শীর্ষ পর্যায়ে নীরবতা দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, একাধিক যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা মাঠে জীবন বাজি রেখে দলের পতাকা ধরে রেখেছে, তাদের মনোবলে আঘাত লাগে যখন দেখে কেউ জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে পার পেয়ে যায়। তারা বশির সিকদারকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, দলীয় আদর্শ রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা না নিলে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও বেড়ে যাবে এবং ত্যাগী কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন:








