সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

মৌলভীবাজারে কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: অনলাইন জুয়া ও দেনা থেকেই হত্যাকাণ্ড, গ্রেফতার ২

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই, ২০২৫ ১৫:১১

শেয়ার

মৌলভীবাজারে কলেজছাত্র হৃদয় হত্যা: অনলাইন জুয়া ও দেনা থেকেই হত্যাকাণ্ড, গ্রেফতার ২
ছবি সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কলেজছাত্র হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন (১৯) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। অনলাইন জুয়া ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা ও শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

নিহত হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন কমলগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট রোড এলাকায় ওয়াইফাই অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে তিনি বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নেন। টাকা ফেরত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়।

গত ৭ জুলাই সকালে শ্রীমঙ্গলের কাকিয়াছড়া চা বাগানের ১ নম্বর সেকশনে একটি গাছের গোড়ায় গলায় বেল্ট পেঁচানো অবস্থায় হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় হত্যা মামলা (নং-১৪, ধারা-৩০২/২০১/৩৪) রুজু করা হয়।

পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় গঠিত বিশেষ তদন্ত টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাপুর এলাকা থেকে দুই আসামি মো. কাজল মিয়া (২০) ও মো. সিরাজুল ইসলাম (২১)-কে গ্রেফতার করা হয়। তারা দু’জনই মাদকাসক্ত এবং বর্তমানে শ্রীমঙ্গলের শাহীবাগ এলাকায় বসবাস করছিল।

গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, ৬ জুলাই রাত ১১টার দিকে তারা হৃদয়কে কাকিয়াছড়া চা বাগানে নিয়ে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং পরে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। হত্যার পর তারা হৃদয়ের মোবাইল ফোন মাত্র ২৫০ টাকায় বিক্রি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।



banner close
banner close