সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬ পৌষ, ১৪৩২

যমুনা রেলসেতু চালু হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই, ২০২৫ ১১:৪১

শেয়ার

যমুনা রেলসেতু চালু হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের
ছবি সংগৃহীত

বহু প্রতীক্ষার পর চালু হয়েছে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ ও আধুনিক রেলসেতু যমুনা রেলসেতু। টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত এ সেতু চালুর মধ্য দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছেন না উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা।

রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূল সেতুটি আধুনিক মানের হলেও সংশ্লিষ্ট রেলপথে রয়েছে অব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত রেললাইন এখনো সিঙ্গেল লেন হওয়ায় ট্রেন চলাচলে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে রেলসেতুর পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

১৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের সুযোগ থাকলেও, বাস্তবে দিনে গড়ে মাত্র ৩২টি ট্রেন চলাচল করছে। অথচ দৈনিক ৮৮টি ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা রয়েছে সেতুটির।

জানা যায়, পূর্ব প্রান্তের ইব্রাহিমাবাদ এবং পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত রেলপথ ডাবল লাইনে রূপান্তরের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি ও প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় যাত্রী ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, যমুনা রেলসেতু চালু হলেও শুধু মূল সেতুর সুবিধা দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না। ট্রেন থেমে থাকছে বারবার, সময়মতো পৌঁছানো যাচ্ছে না গন্তব্যে।

নীলফামারী থেকে আসা যাত্রী আব্দুর রব বলেন, “সেতু পার হতে কিছুটা সময় বাঁচলেও, পুরো রুটে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। আগের মতোই বিলম্ব হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত ডাবল লাইন বাস্তবায়ন হোক।”

ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রী দুলাল মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সেতু ও ট্রেন থাকলেও সুবিধা নেই। একটি ট্রেন এলে অন্যটিকে অপেক্ষা করতে হয়। এতে সময় নষ্ট হচ্ছে।”

এ বিষয়ে ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. সোহেল খান জানান, “সেতুর দুই পাশে ডাবল লাইন না থাকায় পুরো সুবিধা মিলছে না। একটি প্রকল্প অনুমোদিত হলেও তা কার্যকর হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা দ্রুত ডাবল লাইন বাস্তবায়ন ও সেতুর পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগানোর দাবি জানিয়েছেন, যাতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই রেলসেতু জাতীয় অর্থনীতিতে কাঙ্ক্ষিত অবদান রাখতে পারে।



banner close
banner close