চাঁপাইনবাবগঞ্জে দায়ের করা একটি হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলায় সাংবাদিকসহ ১৭ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাব্বির আহমেদ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের পুলিশমাইল গোবিনপুর গ্রামের কথিত মামলাবাজ রফিকুল ইসলাম দণ্ডবিধির ১০৭ ও ১১৭ ধারায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর এটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এবং হয়রানিমূলক মামলা হিসেবে সমালোচিত হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ছিলেন বাংলা এডিশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান।
সূত্র মতে, মামলার পেছনের ঘটনা একটি পুরোনো বিরোধকে ঘিরে। গত এপ্রিলে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মসজিদে বিরূপ মন্তব্য করায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদের জেরে তার ছেলে মোহাম্মদ আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে রবিউল ইসলামকে প্রকাশ্যে আঘাত করে আহত করে। এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেলে, পরে রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকসহ আরও ১৬ জনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেন।
সোমবারের শুনানিতে উভয় পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ শেষে আদালত মামলাটিকে ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক আখ্যা দিয়ে সকল আসামিকে অব্যাহতি দেন এবং মামলাটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা বলেন, “এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আদালতের রায় ন্যায়বিচারের প্রতিফলন। সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করায় আমরা ক্ষুব্ধ। আজকের রায়ে সত্যের জয় হয়েছে।”
সাংবাদিক মহলও রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এই রায় সত্য ও ন্যায়ের বিজয়। হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে কাউকে ভয় দেখানো যাবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।”
উল্লেখ্য, মামলার বাদী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও হত্যাসহ একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে তিনি একজন ‘মামলাবাজ’ ও ‘প্রতারক’ হিসেবে পরিচিত। সালিশি ও তদবিরের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:








