টাঙ্গাইলের সখিপুরে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সকালে ভুক্তভোগী ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে সখিপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সখিপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের লিটন (৪০) ও একই গ্রামের রফিক (৩৯)। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ উপজেলার দেওবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুলাই রাতে শাশুড়ির সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের জেরে কাউকে কিছু না বলে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওই গৃহবধূ। গভীর রাতে, বড় মৌষা বাজার এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তার পথরোধ করে এবং কৌশলে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিমকে ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
পরে সাহস সঞ্চয় করে সোমবার সকালে তিনি সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সখিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রভাষ কুমার বসু বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামী বাকপ্রতিবন্ধী। শাশুড়ির সঙ্গে বিরোধের কারণে তিনি বাবার বাড়ি যাওয়ার সময় পথে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মামলার পর গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, ২ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন:








