অফিসে নিজের চেয়ারে বসেই চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ক্যাশিয়ার উজ্জ্বল বড়ুয়াকে গুনে গুনে ঘুষের টাকা গ্রহণ করতে দেখা গেছে একটি ভিডিওতে।
বাংলা এডিশনের হাতে আসা ওই ভিডিওর সময়কাল সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু যানা যায়নি। তবে এটি সাম্প্রতিক বলেই মনে করা হচ্ছে। আর কার কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছিল, সেটিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি উজ্জ্ব্বল বড়ুয়াকে টাকা দেওয়ার সময় এক ব্যাক্তি বলেন, ‘এক্সেন স্যার বলেছেন আমার নাম করে কেউ এক টাকাও চাইলে দেবেন না’।
সে সময় জবাবে উজ্জ্বল বড়ুয়া বলেন, ‘আবার গিয়ে বলেন দাদা এই কথা বলছে, দেখবেন তখন না বলবে না’। এরপরই উক্ত ব্যক্তি টাকা বের করে তার হাতে দিলে তিনি তা গুণে নিতে শুরু করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের একাধিক সূত্র জানায়, উজ্জ্বল বড়ুয়া এর আগে কক্সবাজারে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটাতেন। এভাবে তিনি বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন।
তারা আরও বলেন, উজ্জ্বল বড়ুয়ার ভয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে শুরু করে অধস্তন কর্মচারীরাও তটস্থ থাকতেন। তিনি সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার নাম নিয়ে ভয় দেখাতেন।
গুনে গুনে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উজ্জ্বল বড়ুয়া বলেন, 'আমি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নই। আমাদের মিডিয়ায় কথা বলা নিষেধ আছে’।
ভিডিওতে উজ্জ্বল বড়ুয়ার ঘুষ নেয়ার ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে কোনো কথা বলতে রাজি হননি চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে উজ্জ্বল বড়ুয়া চাকরিতে যোগদান করেন। শুরুর দিকে তার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকলেও বর্তমানে তিনি বিলাসবহুল দ্বিতল ভবনের মালিক। এছাড়া তার নামে ও বেনামে রয়েছে তিনটি ট্রাক, একটি সিএনজি, দু’টি দোকানসহ বিপুল সম্পদ।
আরও পড়ুন:








