সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

৩২ লাখ টাকা ব্যয় করে সচল রাস্তা অচল করার অভিযোগ

সুজন মাহমুদ, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৫৫

শেয়ার

৩২ লাখ টাকা ব্যয় করে সচল রাস্তা অচল করার অভিযোগ
ছবি বাংলা এডিশন

রৌমারীতে ১০ বছর আগে ব্রিজ নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী ৭ গ্রামের প্রায় ১০হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সরকারের সাড়ে ৩২লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ সেতুটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। তবে ব্রিজের দু'পাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় কার্যত সড়কটি সেই থেকে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে দীর্ঘ ১০বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার দুবলাবাড়ি, পুরাতন যাদুরচর, ঝাউবাড়ি,বকবান্ধা, খেওয়ারচর, কাশিয়াবাড়ি, বাওয়াইর গ্রামের হাজারও মানুষকে।

সোমবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়ক থেকে ব্রিজটি প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিজের দু'পাশে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয় নাই সংযোগ সড়ক।

স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, আগে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার হাজারও মানুষ চলাচল করতেন। ব্রিজ নির্মাণের পর এর দু''পাশে মাটি দিয়ে ভরাট না করায় ওই সময় থেকে সচল রাস্তাটি অচল করে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

দুবলাবাড়ি বাজার এলাকার বাসিন্দা সহিদ মাসউদ আহমেদ, কৃষক জয়েন উদ্দিন, রুহুল আমিন বলেন, দুবলাবাড়ি বাজার থেকে কর্তিমারী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন পায়ে হেটে ৩ কিলোমিটার চলাচল করতে হয়। এর কোনো বিকল্প নাই। ব্রিজটিতে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ পাঁকা সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা।

ব্রিজটি উপজেলার যাদুরচর ও রৌমারী সদর এই দুই ইউনিয়নের সীমান্ত সড়কে হওয়ায় এর দিকে কারও কোনো নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলার পুরাতন যাদুরচর এলাকার ময়নাল মেম্বরের বাড়ির পাশে ভেঙে যাওয়া সড়কে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজ নির্মাণে সরকারের মোট ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয় হয়।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সামসুদ্দিন বলেন, কাজটি আমার সময়ের নয়। সেতুটি যদি ক্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে আমরা সেটি যানচলাচলের উপযোগি করার চেষ্টা করবো।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল কুমার হালদার বলেন, "সংযোগ সড়ক নাই বিষয়টি এমন নয়। বৃষ্টির কারণে মাটি সরে গেছে। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি এটি ঠিক করে দেবো।" তবে পর্বে সংযোগ সড়ক থাকা নিয়ে ইউএনও'র দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি ওই সড়কে চলাচলকারী স্থানীয় লোকজন। তাঁদের দাবি, ব্রিজ নির্মাণের পর থেকেই কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।"#



banner close
banner close