ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে নতুন করে আরও ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও সদর উপজেলায় প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১২-এ। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।
নতুন করে প্লাবিত গ্রামের মধ্যে চারটি ফেনী সদর, পাঁচটি ছাগলনাইয়া ও একটি দাগনভূঞা উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। পানির তোড়ে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, আসবাব, পুকুরের মাছ ও ফসলি জমি। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
ফেনীর বন্যাদুর্গত পাঁচ উপজেলায় এখনো প্রায় ৯ হাজার ২০০ মানুষ ৮২টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক দল অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থদের উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ফুলগাজীতে মাছ ধরতে গিয়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, নোয়াখালীতে পাঁচ দিনের টানা বৃষ্টি থামলেও জলাবদ্ধতা কাটেনি। জেলা শহরসহ সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে পানিবন্দি রয়েছে হাজারো পরিবার। ড্রেনের ময়লা পানি ও ভাঙাচোরা সড়কে চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে।
টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে ৭ হাজার ৩১৬ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাল খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ১০ দিন দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:








