কক্সবাজারের চকরিয়ায় অবস্থিত ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এসব প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে দুদক কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি অত্যন্ত নিম্নমানের—কোথাও মাত্র ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
তারা আরও জানান, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের মধ্যে শুধুমাত্র ওয়ার্ক অর্ডার সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন অফিসে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দুদক কর্মকর্তারা ওইসব নথি দুই কার্যদিবসের মধ্যে সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ শেষে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবেন। প্রতিবেদন পরবর্তী কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মনজুর আলম বলেন, “গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের পর দুদকের নজরে আসে বিষয়টি। বৃহস্পতিবার প্রতিনিধিদল প্রায় দুই ঘণ্টা পার্কে অবস্থান করে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেছে। তারা ডকুমেন্টস চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারিনি। চট্টগ্রাম অফিস থেকে সংগ্রহ করে দ্রুত সরবরাহ করা হবে।”
দুদকের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে উদ্ভূত এই অনিয়মের চিত্র বন বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়নের মান ও জবাবদিহি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
আরও পড়ুন:








