টানা ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। গত বছরের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারা এসব বাসিন্দারা এখন আরেকটি বন্যার মুখোমুখি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় গোমতী নদীর পানি ৯ দশমিক ৬৮ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এ নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩ মিটার। বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গোমতী নদীর পানি।
আগের ২৪ ঘণ্টা টানা ভারী বর্ষণ হলেও বুধবার সারারাত থেমে থেমে বৃষ্টি পড়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অঝোর বৃষ্টি হয়ে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে।
অপরদিকে, বৃষ্টি থামলেও থেমে নেই ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অঝোরে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। সেখানকার পানি গোমতী নদী বেয়ে নদীর কুমিল্লা অংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার ৯ দশমিক ৪২ মিটারে। বুধবার সকাল ৮টায় পানি ছিল বিপৎসীমার ৮ মিটারে। বুধবার দিনব্যাপী নদীর পানি ১ দশমিক ৪২ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নদীটির পানি বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৬ মিটার। ৪৮ ঘন্টায় গোমতী নদীর পানি বেড়েছে ৫ থেকে ৬ মিটারের মতো।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামানজানান, ‘বুধবার রাতে ভারী বর্ষণটা ছিল না। ভোরে আবার বর্ষণ ছিল। এখন আবার নেই। পানির প্রবাহ কিছুটা কম গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা ঢল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না।’
অন্যদিকে, গত বছরের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারা মানুষজন নতুন করে বন্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এসব মানুষের উৎকন্ঠা যেনো গেলো বছরের চেয়েও বেশি।
আরও পড়ুন:








