গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) ডিলার নিয়োগে স্বচ্ছতা না থাকার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় জনগণ। তাদের অভিযোগ, লটারির নামে প্রহসন করে দলীয়ভাবে ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে, যা প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতির স্পষ্ট উদাহরণ।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের বাহিরগোলা জামে মসজিদ মোড়ে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৭ জুলাই গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার কয়েকজন নেতা ডিলার প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করেন। পরদিন ৮ জুলাই লটারির নামে কার্যত তাদের পছন্দের ব্যক্তিদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।
বক্তারা দাবি করেন, যাদের ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকের দোকান নেই, আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণপত্র সঠিক নয়, এমনকি একাধিক টোকেন ব্যবহার করে লটারিতে অংশগ্রহণেরও অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে, বহু বৈধ আবেদনপত্র গায়েব করে দেওয়া হয়েছে এবং আবেদনকারীদের অবহিত না করেই বাতিল দেখানো হয়েছে।
এ সময় বক্তারা লটারির প্রক্রিয়াকে 'প্রহসন' উল্লেখ করে বলেন, সবকিছু গোপন রেখে একদিনেই আবেদন বাতিল ও লটারি সম্পন্ন করা হয়, যাতে কোনো জবাবদিহি না থাকে।
বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, সকল আবেদনকারীর উপস্থিতিতে স্বচ্ছ যাচাই-বাছাই এবং উন্মুক্ত লটারি আয়োজন করে নতুনভাবে ডিলার নিয়োগ দিতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইফতেখার হোসেন পপেল, যুগ্ম আহ্বায়ক নাহমুদুল হক রাসেল, মোস্তাক আহমেদ, জামিউল ইসলাম জমু, যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আলম জামান মিন্টু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিয়েল মণ্ডল, সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ হারুন এবং পৌর ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:








