নোয়াখালীতে গত দুই দিনের ভারী বর্ষণে আবারো ডুবে গেছে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো। সড়ক থেকে শুরু করে বাড়িঘর, হাট-বাজার পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। কোথাও হাঁটুসমান, কোথাও কোমরসমান পানি জমে রয়েছে দিনের পর দিন। তবে জলাবদ্ধতার পেছনে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে অবৈধ ভেসাল জালের দৌরাত্ম্য, যা আজ গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য।
জানা গেছে, নোয়াখালীর ৯ উপজেলার মধ্যে জেলা শহর মাইজদী, চৌমুহনী, সোনাপুর, বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সোনাইমুড়ী, সুবর্ণচর, কবিরহাটসহ বহু এলাকায় খাল-বিল, নালা ও ড্রেনের মুখে অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে ভেসাল জাল। ফলে বৃষ্টির পানি স্বাভাবিকভাবে নিষ্কাশনের পথ পাচ্ছে না। একদিকে ভারী বর্ষণ, অন্যদিকে এই জালগুলোর কারণে পানি আটকে থেকে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘খাল-ড্রেনের মুখে পাটা, জাল বসিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের কাজ গণ উপদ্রব হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইতোমধ্যে প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে জানিয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক ও সহযোগিতাশীল থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:








