সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

আজাদ সরকার হত্যা মামলায় প্রধান আসামির ফাঁসির দাবিতে হাজীগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ জুলাই, ২০২৫ ২০:৩৫

শেয়ার

আজাদ সরকার হত্যা মামলায় প্রধান আসামির ফাঁসির দাবিতে হাজীগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত বছরের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আজাদ সরকার হত্যার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনির হোসেন মিঠু কাজীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় অন্যান্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারেরও দাবি জানানো হয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার টোরাগড় এলাকার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং ছাত্রদল ও স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা অংশ নেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি টোরাগড় এলাকার সরকার বাড়ির সামনে থেকে শুরু হয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে হাজীগঞ্জ বাজারে গিয়ে শেষ হয়। পরে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেনহত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম, শহীদ আজাদ সরকারের ছেলে আহম্মেদ কবির হিমেল, যুবনেতা মহসিন পাটওয়ারী, শ্রমিক নেতা সোহেল রানা, ছাত্রনেতা শামসুদ্দীন নূর ও সাখাওয়াত সরকার প্রমুখ।

এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক ছিল এবং এখনো অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা দ্রুত সব আসামিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২ জুলাই) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকা থেকে প্রধান আসামি মিঠু কাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং টোরাগড়ের কাজী বাড়ির মৃত মেন্দু কাজীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে মিঠু কাজীর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

হত্যার পেছনের পটভূমি

২০২৩ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন, বিকেলে নিজের বাড়ির সামনে ছাত্রদল নেতা হিমেলের বাবা আজাদ সরকারকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেদিন রাতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১০ দিন পর নিহতের ছেলে হিমেল বাদী হয়ে ১৪ আগস্ট হাজীগঞ্জ থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।



banner close
banner close