সোমবার

২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭ পৌষ, ১৪৩২

তৃতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধন জুলাইতেই: এলজিডি সচিব রেজাউল মাকছুদ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ৪ জুলাই, ২০২৫ ২০:১৩

শেয়ার

তৃতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধন জুলাইতেই: এলজিডি সচিব রেজাউল মাকছুদ
ছবি বাংলা এডিশন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারীকে সংযুক্তকারী বহুল প্রত্যাশিত তৃতীয় তিস্তা সেতু জুলাই মাসেই উদ্বোধন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর এলাকায় ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান মাস। এই মাসকে স্মরণীয় করে রাখতে সেতুটি উদ্বোধনের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ৯৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।”

তিনি জানান, মূল সেতুর পাশাপাশি সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্টসহ অন্যান্য কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন সচিব।

সেতুর উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেতু পুরোপুরি প্রস্তুত হলে উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।”

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ মিয়া, যুগ্ম সচিব সামছুল ইসলাম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব আবুল হাসান, সচিবের একান্ত সচিব আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকার, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম হোসেন, রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুল ওহাব খান, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মালেক, নির্বাহী প্রকৌশলী মুসা, জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম ও মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)-এর অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে তৃতীয় তিস্তা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন।

এর মধ্যে মূল সেতুর ব্যয় ৩৬৭ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট ও জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হচ্ছে আরও ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেতুর নির্মাণে রয়েছে ২৯০টি পাইল, ৩০টি পিলার, ২৮টি স্প্যান ও ১৫৫টি গার্ডার। পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ১২টি ব্রিজ ও ৫৮টি বক্স কালভার্ট।

প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৩৩ একর জমি এবং নদীশাসন করা হয়েছে দুই পাশে ৩.১৫ কিলোমিটার করে। পাশাপাশি নির্মিত হচ্ছে সুন্দরগঞ্জ অংশে ৫০ কিলোমিটার ও চিলমারী অংশে ৭.৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।

তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু শুধু একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নয়, এটি দুই জেলার মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন পূরণের প্রতীক হয়ে উঠেছে।



banner close
banner close